র‌্যাব-৩ এর পৃথক অভিযানে সৌদি আরবে মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ শাহিন এবং তাদের ০৩ জন সহযোগীকে রাজধানীর পল্টন ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার।

১। গত ০১/০২/২০২৩ তারিখ রাজধানীর পল্টন এলাকা হতে ১৬৫০ ঘটিকায় এবং যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ২০০০ ঘটিকায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে সৌদি আরবে মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা ১। মোঃ শহীদুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত মফিজ মীরা, আটারোগাছিয়া, থানা-ধুমকী, জেলা-পটুয়াখালী ও ২। মোঃ শাহিন (৩৭), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, সাং-হাজী নগর শারুলিয়া, থানা-ডেমরা, ডিএমপি ঢাকা এবং তাদের সহযোগী ৩। তৈয়বা (৫৫), স্বামী-মৃত সেলিম, সাং-পকিয়া, থানা-বড়নদী, জেলা-ভোলা, ৪। মোঃ কাইয়ুম শাওন (৩৪), পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ, সাং-বাসা নং-৩০/২১, তাজমহল রোড, থানা-মোহাম্মদপুর, ডিএমপি ঢাকা, ৫। মোঃ লিটন মিয়া (৩০), পিতা-মৃত শহিদ মিয়া, সাং-কান্দুগড়, থানা-ব্রাহ্মণপাড়া, জেলা-কুমিল্লাদেরকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ, পিপিএম (সেবা), বিজিবিএম, পিবিজিএম, পিএসসি।

২। অধিনায়ক বলেন, ধৃত আসামীদের জনশক্তি রপ্তানীর কোন বৈধ লাইসেন্স না থাকা স্বত্তে¡ও তারা ভিকটিমদের নিকট হতে সৌদি আরবে উচ্চ বেতনে চাকুরী, বছরে দুটি বোনাস, থাকা খাওয়া ফ্রীসহ চাকুরী দেওয়ার লোভনীয় কথাবার্তা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও সৌদি আরবে প্রেরণ করে সেখানে অবস্থিত তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে ভিকটিমদের জিম্মি করে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিপণের জন্য অর্থ দাবী করত। এভাবে উক্ত চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকার সাধারন লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে মানব পাচারের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছে। তার সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। এসকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

৩। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।